Sharing is caring!
স্টাফ রির্পোটার: লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমন খানের আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া ভবন থেকে ছয় শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার গভীর রাতে শহরের থানা রোড এলাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন ভবন থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়। ভবনের চতুর্থ তলার বাথরুমে তিনটি ও একটি কক্ষের মেঝেতে তিনটি লাশ পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে শনাক্ত করা সম্ভব হলেও একজনের পুরো শরীর পুড়ে যাওয়ায় পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর বিকেলে বিজয় মিছিল থেকে শতাধিক বিক্ষুব্ধ লোক সুমন খানের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় তাঁর পরিবারের কেউ বাড়িতে ছিলেন না। নিহতরা হলেন শহরের হাঁড়িভাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র তন্ময় মিয়া, নবীনগর এলাকার কলেজছাত্র জনি মিয়া, আদিতমারী উপজেলার খাতাপাড়া গ্রামের কলেজ ছাত্র শ্রাবণ, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার বড়ইপাড়া গ্রামের এইচএসসি পাস রাদিফ হোসেন রুস ও একই জেলার রাজারহাট উপজেলার জয়কুমার গ্রামের চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থী রাজিব উল করিম সরকার।
আওয়ামী লীগের নেতা সুমনের বিলাসবহুল এই বাড়ি ঘিরে সবার কৌতূহল রয়েছে। মিছিলে অংশ নেওয়া অনেকের মতো এই শিক্ষার্থীরা ভবন দেখতে ভেতরে প্রবেশ করেন। এক পর্যায়ে তারা চার তলা ভবনের ছাদে ওঠেন। এদিকে বিক্ষুব্ধ লোকজন নিচতলায় আগুন ধরিয়ে দিলে তা নিমেষেই ছড়িয়ে পড়ে। কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় পুরো এলাকা। ভবনের সামনের অংশ কাচ দিয়ে আবৃত থাকায় ভেতরে গুমোট পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এ সময় অন্তত সাত শিক্ষার্থী চার তলায় আটকা পড়েন। তাদের একজন ভেন্টিলিটার ভেঙে নিচে লাফ দেন। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্য ছয়জন আটকা পড়ে দগ্ধ হয়ে মারা যান। আহত শিক্ষার্থীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
৪১৩ পড়েছেন