Sharing is caring!
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সিলেট মহানগর শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম বলেছেন, যুক্তরাজ্যে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে প্রায় ৯০ ভাগই সিলেটি। তারা বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার ক্ষেত্রে ব্যাপক অবদান রাখছেন, কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য দীর্ঘ ২ দশকের বেশি সময় ধরে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রবাসীদের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে। সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও সিলেটে বহুজাতিক এয়ালাইন্স অবতরণ করছে না। এটা খুবই দুঃখজনক।তিনি রোববার (১৮ মে) সন্ধ্যায় নগরীর জিন্দাবাজারস্থ ওয়েস্ট ওয়ার্ল্ড শপিং সিটির ১০ম তলায় সুপ্রিম ল’ চেম্বারের কার্যালয়ে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমাববন্দরে বহুজাতিক এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট চালু, বিমানের সিলেট-ম্যানচেস্টার-সিলেট রুটে বিমানের ভাড়া হ্রাস এবং কার্গো মালামাল সিলেটে কাস্টমস সম্পন্ন করার দাবীতে প্রবাসী বাংলাদেশী ওয়েলফেয়ার ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। তিনি প্রবাসীদের কল্যাণে প্রবাসী বাংলাদেশী ওয়েলফেয়ার ফোরামের এই কার্যক্রমকে আমি সাধুবাদ জানাই এবং ফোরামের উদ্যোগে প্রবাসীদের স্বার্থে যে কোন আন্দোলনে আমি একাত্মতা পোষণ করছি।ফোরামের আহ্বায়ক ড. এম. এ. মোশতাকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, এক্সপ্রেক্স কার্গোর চেয়ারম্যান প্রবাসী এনামুল করিম, ব্যারিস্টার ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ড. শাহ জামাল নুরুল হুদা। বক্তব্য রাখেন, ফোরামের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মহি উদ্দিন আহমদ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট মোহাম্মদ শাহাজাহান, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী কমিউনিটি নেতা খলকু কামাল, সিনিয়র সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম চৌধুরী এহিয়া, চৌধুরী দেলওয়ার হোসেন জিলন, সমাজকর্মী আবুল হাসনাত শামীম, তারেক আল মঈন, মকসুদ হোসেন, মন্তাজ আলী, রুহেল আহমদ প্রমুখ।সভাপতির বক্তব্যে ফোরামের আহ্বায়ক ড. এম. এ. মোশতাক বলেন, ১৯৪৪ সালে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর জেনারেল এমএজি ওসমানীর নামানুসারে স্থাপিত ওসমানী বিমানবন্দর ২০০২ সালে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তরিত হয়, কিন্তু দুই দশক পরেও সিলেটবাসীর দাবিকে উপেক্ষো করে শুধুমাত্র নামকায়াস্তে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নাম ব্যবহার করে পরিচালিত হচ্ছে। বিভিন্ন দেশ থেকে যাত্রীরা সিলেটে অবতরণ করলেও তাদের মালামাল চলে যায় ঢাকায়, সেখানে কাস্টমস সম্পন্ন করার পরে প্রায় ২ থেকে ৩ সপ্তাহ পরে যাত্রীদের কাছে তাদের মালামাল পৌছানো হয়, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এতে করে যাত্রীরা মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হন। তাই অবিলম্বে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো মালামাল কাস্টমস করার জোর দাবী জানিয়ে তিনি আরো বলেন, বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার সিলেট থেকে স্পেন সরাসরি কার্গো ফ্লাইট চালু করেছে যা প্রশংসার দাবি রাখে। পাশাপাশি বাংলাদেশীদের কথা বিবেচনা করে সিলেট ম্যানচেস্টার রুটে একটি করে কার্গো ফ্লাইট চালু করার জন্য বর্তমান সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
১৪ পড়েছেন