Sharing is caring!
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে আবারও অভিযান চালিয়েছে টাস্কফোর্স।আজ চালানো অভিযানে পাথর ভাঙার ৭৭টি যন্ত্রের (ক্রাশার মেশিন) বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এর আগে ১৮ জুন জাফলংয়ে প্রথম দফায় ৬৭টি যন্ত্রের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল।অভিযানে নেতৃত্ব দেন গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রতন কুমার অধিকারী। এ সময় গোয়াইনঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কবির হোসেন, বিদ্যুৎ বিভাগ জৈন্তাপুরের আবাসিক প্রকৌশলী সজল চাকলাদার, বিজিবির সংগ্রাম বিওপির ক্যাম্প কমান্ডার শহীদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ১৮ জুনের পর আজ দ্বিতীয় দিনের মতো বেলা ২টা থেকে সন্ধ্যা পৌনে ৬টা পর্যন্ত জাফলং এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বিদ্যুৎ বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর, পুলিশ, বিজিবি ও বন বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স অভিযান চালায়। অভিযানে পাথর ভাঙার ৭৭টি যন্ত্রের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মিটার জব্দ করা হয়।অভিযান শেষে সন্ধ্যায় ইউএনও রতন কুমার অধিকারী বলেন, পরিবেশবিধ্বংসী অবৈধ স্থাপনা ও কার্যক্রমের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।১৪ জুন প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) জাফলং পরিদর্শনে যান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। এ সময় সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে জাফলংসহ সিলেটের কোনো পাথর কোয়ারি ভবিষ্যতে ইজারা দেওয়া হবে না।অন্যদিকে অবৈধ পাথরের ব্যবসা ঠেকাতে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান দ্রুততার সঙ্গে সিলেটের বিভিন্ন স্থানে থাকা পাথর ভাঙার যন্ত্রের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। দুই উপদেষ্টার নির্দেশনা পাওয়ার পরপরই ১৬ জুন থেকে পাথর ভাঙার যন্ত্রের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কাজ শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন।এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কোয়ারি থেকে পাথর ও বালু উত্তোলন বন্ধে নির্দেশনা দেয় সরকার। এরপর থেকে রাতের আঁধারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতায় অবৈধভাবে পাথর ও বালু উত্তোলন চলত। গত ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর কোয়ারির নিয়ন্ত্রণ নেন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা। তাঁদের পৃষ্ঠপোষকতায় হাজারো শ্রমিক পাথর উত্তোলন শুরু করেন। এসব পাথর পাথর ভাঙার যন্ত্রের মালিকদের কাছে বিক্রি করা হয়। পরে সেসব পাথর মেশিনে ভেঙে ছোট করে ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করা হয়।যোগাযোগ করা হলে সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ জানান, ১৬ জুন থেকে এখন পর্যন্ত পাথর ভাঙার ২৫৯টি যন্ত্রের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পাশাপাশি মিটার জব্দ করা হয়েছে।
১৮ পড়েছেন