• ২৪শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১০ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৬শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

বিদেশি সবজির বাজার সংকট, বিপাকে সবজি চাষিরা

admin
প্রকাশিত ডিসেম্বর ২৮, ২০২২
বিদেশি সবজির বাজার সংকট, বিপাকে সবজি চাষিরা

Sharing is caring!

সিলেট এইজ: হবিগঞ্জে বিদেশি সবজি চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। কয়েক বছর ধরে জেলার বাহুবল, মাধবপুর ও চুনারুঘাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় উচ্চমূল্যের এসব সবজির চাষ হচ্ছে। তবে বাজার সংকট থাকায় উচ্চমূল্যের এসব সবজির বিপণন ব্যবস্থা নিয়ে বিপাকে পড়ছেন কৃষকরা। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এসব সবজি বিক্রি করতে কৃষকদের সহযোগিতা করা হচ্ছে। এ ছাড়া এসব বিদেশি সবজির জন্য আলাদা একটি বাজার বসানোর পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। কৃষকরা জানান, স্থানীয় বাজারে এসব সবজির চাহিদা না থাকায় বিক্রি নিয়ে জটিলতায় পড়তে হচ্ছে। আপাতত স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার সহযোগিতায় সিলেট ও শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ও বাজারে অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করতে হচ্ছে এগুলো। বিপণন ব্যবস্থা সহজ হলে উচ্চমূল্যের এসব সবজি ব্যাপক পরিসরে চাষ করতে আগ্রহী কৃষকরা।বাহুবল উপজেলার হাফিজপুর গ্রামের আব্দুস সালাম বলেন, ‘এ বছর প্রথম ২০ শতক জায়গায় ক্যাপসিকাম চাষ করেছি। ভালো ফলন হয়েছে। সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ২০-২২ হাজার টাকা। আশা করছি লাখ টাকার ওপরে বিক্রি করা যাবে।’ একই উপজেলার বুলকোড গ্রামের কৃষক ছানু মিয়া জানান, তিন বছর ধরে ৩০ শতক জায়গায় স্কোয়াশ চাষ করছেন তিনি। যে জমিতে আগে শিম কিংবা আলু চাষ করে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা লাভ হতো, সেখানে স্কোয়াশ চাষে লাভ হচ্ছে প্রায় দ্বিগুণ। ছানু মিয়ার মতো জেলার আরও শতাধিক কৃষক উচ্চমূল্যের এসব বিদেশি সবজি চাষ করছেন। দেশি সবজি থেকে বিদেশি সবজিতে অধিক লাভ হওয়ায় তিন বছর ধরে হবিগঞ্জের বাহুবল, চুনারুঘাট এবং মাধবপুর উপজেলার কয়েকটি এলাকায় স্কোয়াশ, ক্যাপসিকাম, ব্রোকলি, রেড ক্যাবেজ, লেটুসপাতাসহ উচ্চমূল্যের বিভিন্ন বিদেশি সবজির চাষ করছেন কৃষকরা। দিমুড়া গ্রামের কৃষক দিদার হোসেন বলেন, ‘আমি রেড ক্যাবেজ চাষ করেছি। ভালো ফলন হলেও বিক্রি করতে সমস্যা হয়। কৃষি অফিসের সহযোগিতায় সিলেট ও শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ও বাজারে বিক্রি করতে হচ্ছে।’ বাহুবল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কর্মকর্তা (ক্লক দিমুড়া) শামীমুল হক শামীম বলেন, ‘প্রথমে কৃষকরা এসব সবজি চাষে আগ্রহী ছিলেন না। তিন বছর আগে অনেক কষ্ট করে কয়েকজন কৃষককে রাজি করিয়েছিলাম। এখন সব কৃষকই এই সবজি চাষ করতে চান। কৃষিকে লাভজনক করার জন্য সরকার এখন উচ্চমূল্যের ফসল চাষে জোর দিচ্ছে। বাহুবল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘এসব সবজি বিক্রির জন্য বাহুবলের মিরপুর বাজারে উচ্চমূল্যের ফসল বিক্রয়কেন্দ্র করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। আশা করি, আগামী বছর আর কোনো কৃষক তাঁদের উৎপাদিত সবজি বিক্রি নিয়ে সমস্যায় পড়বেন না।’

৬৯১ পড়েছেন