• ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৩ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

এসএমপির ডিবির এডিসির সেই আদেশে কি ছিলো ?

admin
প্রকাশিত জানুয়ারি ২৮, ২০২৩
এসএমপির ডিবির এডিসির সেই আদেশে কি ছিলো ?

Sharing is caring!

আব্দুল হালিম সাগর : সিলেট এসএমপি এলাকার আবাসিক হোটেলে সম্প্রতি কয়েকদিনে প্রায় ৪টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এতে নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন। বিশেষ করে দক্ষিণ সুরমাস্থ শাপলা নামের একটি মিনি পতিতালয়ে মারা যায় হোটেল ম্যানেজার জহিরের প্রেমিকা। এ ঘটনায় দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলায় দায়ের হয়। কিন্তু বন্ধ হয়নি পাশের হোটেল প্রবাস নামের পতিতালয়টি।
এ আলোকে সম্প্রতি এসএমপির গোয়েন্ধা শাখা থেকে সিলেট নগরীর উত্তর সুরমার বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল ম্যানেজার, সুপারভাইজার, কর্মচারীদের নিজ কার্যালয়ে স্বশরিরে হাজির হতে নির্দেশনামা জারি করা হয়। গত ২০ জানুয়ারী স্ব-শরিলে এসএমপির ডিবির কার্যালয়ে হাজির হওয়ার দিন ছিলো সকলের। যাহা এসএমপির সরকারি আদেশ স্বারক নং-১৮৭৪৩ তারিখ ১৪/১২/২০২৩ ইং। ডিসি/এডিসি স্বারক নং ১৭৯ তারিখ ১৮/১/২০২৩ইং। আদেশে বলা হয় অনুসন্ধানের স্বার্থে সবাইকে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো। সেই আদেশে বেশ কয়েকটি হোটেলকে আবাসিক হোটেল বলা হলেও কয়েকটি হোটেলকে পতিতালয় হিসাবে উল্লেখ করা হয়। বিশেষ করে তালতলাস্থ হোটেল গুলশানে দীর্ঘ দিন থেকে মাদক সহ অসামাজিক কার্যকলাপ চললেও কখনো কেউ তাদের পালে হাওয়া লাগাতে পারেনি। আবাসিক হোটেলটি ম্যানেজার বিয়ানীবাজারের বাসিন্ধা ক্ষমতাধর প্রতাপ বাবু পরিচালনা করেন। এটিই একমাত্র নিরাপদ পতিতালয় যেটিতে কোন দিন অভিযান চালায়নি পুলিশের কোন ইউনিট। ওসমানী মেডিকেল রোডের প্রভাবশালী বিএনপির নেতার আরেকটি হোটেল শিরিন। যেটিতে লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদের প্রবেশ নিষেধ বলা চলে।
শাহজালাল মাজার সংলগ্ন হোটেল হলি ভিউ, হোটেল নিরালা, চৌধুরী হোটেল, হোটেল আল সবুজ, দরগা গেইটের রোজ গার্ডেন, আম্বরখানার হোটেল শেরাটন, সোবহানীঘাটের হোটেল মেহেরপুর, বন্দরবাজারের হোটেল মহানগর। এই কয়টি হোটেলে নিরাপদে দেহব্যবসা চললেও পুলিশ কোন দিনই অভিযান চালায়নি। এবার এই হোটেলগুলোর অসামাজিক কার্যকলাপকে আমলে নিয়ে নোটিশ জারি করেছেন ডিবির এডিসি শাহরিয়ার আল মামুন। উল্লেখিতটি হোটেল ছাড়াও আরো কয়েকটি হোটেলের নাম রয়েছেসে সেই তালিকায়। যেসব হোটেলে নিয়মিত চলে পুলিশের অভিযান। এসব হোটেলের ম্যানেজার, কর্মচারীকে ডিবি কার্যালয়ে হাজির হতে নির্দেশ করা হয় কোতয়ালী থানা পুলিশের মাধ্যেমে। আর সেই আদেশ ১৮/১/২০২৩ ইং তারিখে বাস্তবায়ন করেন বন্দবাজার ফাঁড়ির আইসি সাজেদুল করিম। কিন্তু এসব হোটেল ম্যানেজারদের ডেকে নিয়ে কি বলা হয়েছে বা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তা জানাতে রাজি নন কোন হোটেলের ম্যানেজার কর্মচারী কিংবা পুলিশের কোন কর্মকর্তা।

৫২২ পড়েছেন