• ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৩ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

তদন্তকারী কর্মকর্তাকে পত্তাই দিলেন না মুহিবুর রহমান

admin
প্রকাশিত মে ৭, ২০২৪
তদন্তকারী কর্মকর্তাকে পত্তাই দিলেন না মুহিবুর রহমান

Sharing is caring!

স্টাফ রির্পোটার: সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে দেয়া কাউন্সিলদের অভিযোগের তদন্ত করা হয়েছে। গত সোমবার সকাল ১১টায় উপজেলা কন্ফারেন্স হলরুমে শুরু হয় এই তদন্ত কাজ। তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের উপ-পরিচালক সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের (শিক্ষা) সুবর্ণা সরকার। তার সাথে ছিলেন বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীনা আক্তার। সোমবার (৬ মে) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পৌরসভার অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর ও অভিযোগকারি কাউন্সিলরদের নিয়ে চলে তদন্ত কাজ। তবে মন্ত্রনালয় থেকে দেয়া এই তদন্তকারী কর্মকর্তার ডাকেও সাড়া দেননি কাউন্সিলরদের অভিযোগে প্রধান অভিযুক্ত পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান। অবশেষে তার অনুপস্থিতিতেই তদন্ত কাজ শেষ হয়। এসময় পৌরসভার কয়েকজন কর্মকর্তার লিখিত বক্তব্য নেয়া হয়েছে বলে তদন্তে উপস্থিত থাকা পৌরসভার এক কর্মকর্তা জানান। গত ১৬ এপ্রিল স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের স্থানী সরকার বিভাগের সচিবের কাছে অনাস্থা প্রস্তাব এনে মেয়র মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে লিখিত দাখিল করেন ৭জন কাউন্সিলর। অনাস্তা ছাড়াও অভিযোগে আনা হয়- মেয়র ক্ষমতার অপব্যবহার করে ময়লা আবর্জনার খাত দেখিয়ে রাজস্ব খাত থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ, ময়লা আবর্জনা বিশ্বনাথ শহরের জনগুরুত্বপূর্ণ প্রবাসী চত্তরের পাশে ও বাসিয়া নদীতে ডাপ্পিং করেছেন, পৌরসভার টাকা অন্য ইউনিয়নে ও অন্য উপজেলায় বিতরণ করেছেন, সরকারের রাজস্ব খাত থেকে তিনি বাজেট অনুসরন না করে বিভিন্ন নামে বেনামে ভূয়া বিল ভাউচার করে বিপুল পরিমান টাকা আত্মসাৎ, পৌর পরিষদের সিদ্ধান্ত ছাড়া জনপ্রতি ২/৩ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে একক ক্ষমতা বলে মাষ্টারোলের মাধ্যমে নিজের আত্বীয়-স্বজনকে পৌরসভায় নিয়োগ, বিভিন্ন সময় দরপত্র আহবান ছাড়া তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের পছন্দের ঠিকাদার দিয়ে কাজ পরিচালনা, কাউন্সিলরদের প্রত্যয়ন ছাড়া লাখ লাখ টাকার বিল পরিশোদের ব্যবস্থা, দুর্নীতি করার সুবিধার্থে পৌরসভার কার্যালয় থেকে অফিসিয়াল সকল কাগজপত্র, ফার্নিচার ও ল্যাপটপ তার বাসভবনে নিয়ে অফিসের সকল স্টাফ দিয়ে অফিসের কাজ করান, প্রত্যেক মাসের সাধারণ সভা পৌর কার্যালয় অফিসে না করে তাহার বাসভবনে করা’সহ অভিযোগপত্রে বেশ কয়েকটি অভিযোগ উল্লেখ করা হয়। লিখিত এই অনাস্থা প্রস্তাবে প্যানেল মেয়র-১ রফি মিয়া, প্যানেল মেয়র-২ সংরক্ষিত কাউন্সিলর সাবিনা বেগম, সংরক্ষিত কাউন্সিলর রাসনা বেগম, সংরক্ষিত কাউন্সিলর লাকী বেগম, কাউন্সিল রাজুক মিয়া রাজ্জাক, জহুর আলী ও শামীম আহমদের স্বাক্ষর রয়েছে। আর সোমবার এই ৭জন কাউন্সিলরের লিখিত অভিযোগের তদন্ত করেন তদন্তকারি কর্মকর্তা সুবর্ণা সরকার। অনুপস্থিতির কারণ জানতে চাইলে মেয়র মুহিবুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। তবে তদন্তকারী কর্মকর্তা সুবর্ণা সরকার বলেন, এর পূর্বে তদন্তের প্রথম তারিখ ছিল ২মে। কিন্তু মেয়র মুহিবুর রহমানের একটি লিখিত আবেদনের প্ররিপ্রেক্ষিতে ওই তারিখ পরিবর্তন করে ৬ মে পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু তিনি এই তারিখেও উপস্থিত হননি।

১১ পড়েছেন