• ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৩ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

এসএমপি বদলে দিয়েছে মেট্টো ডিবি পুলিশ

admin
প্রকাশিত এপ্রিল ২৮, ২০২৪
এসএমপি বদলে দিয়েছে মেট্টো ডিবি পুলিশ

Sharing is caring!

আব্দুল হালিম সাগর: সিলেট মহানগরী অপরাধীদের কাছে আতংকের নাম (এসএমপি) ডিবির বর্তমান ডিসি তাহিয়াত আহমেদ চৌধুরী ও এডিসি শাহরিয়ার আল মামুন । মাত্র কয়েক মাসের ভিতরেই এসএমপি এলাকার সকল অপরাধমুলক কর্মকান্ডের আস্থানা গুড়িয়ে দিয়েছেন তারা । বিশেষ করে ডিসির দিক নির্দেশনায় (এসএমপি) মহানগর ডিবি পুলিশের এডিসি শাহরিয়ার আল মামুন এবং ডিসির নিজের নেতৃত্বে প্রায় তিন শতাধিক সফল অভিযান পরিচালিত হয়েছে । সিলেট মহানগরী এলাকা থেকে কমে গেছে প্রায় ৯০ শতাংশ অপরাধমূলক নানা রকম অপরাধ। তাদের নেতৃত্বে এ পর্যন্ত আটক করা হয়েছে প্রায় ২শতাধিক জুয়াড়ী, অর্ধশত পতিতা ও দালাল, প্রায় ৩০ জন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী, অর্ধশতাধিক চোরাকারবারি। দিনে কিংবা রাতে পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়াই চলে ডিসির নির্দেশে এডিসি শাহরিয়ার আল মামুনের নেতৃত্বে বিভিন্ন রকম অপরাধ স্পটে সাড়াসী অভিযান। এসএমপি এলাকার ৬টি থানায় যেকোন রকমের অপরাধের খবর শুনলে টিম নিয়ে নিজেই বেরিয়ে পড়েন তিনি। ফলে সীমান্ত চোরাকারবারী থেকে সব রকম অপরাধীদের কাছে ডিবর ডিসি আর এডিসি শাহরিয়ার আল মামুন এক মুর্তিমান আতংকের নাম। মাত্র ৫মাসে লাগাতার অভিযান চালিয়ে এসএমপি এলাকায় প্রায় ৯০ শতাংশ অপরাধ মুলক কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসছে মহানগর ডিবি পুলিশ। অনেক অপরাধীর মুখে শুনা যায়, ২০০৬ সালে এসএমপি প্রতিষ্টার পর থেকে শাহরিয়ার আল মামুনের মতো এমন চৌকুস অফিসার এসএমপিতে আর কাউকে দেখা যায়নি। সিলেট নগরী থেকে জুয়া, আবাসিক হোটেলের অসামাজিক কার্যকলাপ, মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার, ছিনতাইকারী আটক, অবৈধ চোরাচালানের পন্যসহ চোরাকারবারী আটক সব কিছুতেই এসএমপির দুই জোনের সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন শাহরিয়ার আল মামুন। শাহরিয়ার আল মামুন ডিবির এডিসি ছাড়াও রয়েছেন সিআরটি টিমের প্রধান হিসাবে। তাই ডিবি পুলিশের জনবল সংকঠ আর লজিষ্ট্রিক সার্পোট না থাকলে সামান্য লজিষ্ট্রিক সার্পোট নিয়ে সিআরটি টিমের সদস্যদের নিয়ে তারা লড়ে যাচ্ছেন এসএমপি এলাকার সকল অপরাধীদের বিরুদ্ধে। তাদের এসব সাড়াসী অভিযানের ফলে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন নগরবাসীর কাছ থেকে। তবে মাঝে মধ্যে অভিযানকালে সাথে থাকা সদস্যরা দু একটি বির্তকৃত কর্মকান্ড ঘটিয়ে সাফল্যপূণ্য অভিযানকে বির্তকৃত করে ফেলছেন বলেও অভিযোগ করেন অনেকে। ফলে অভিযানকালে নেতৃত্বে থাকা ডিসি ও এডিসি শাহরিয়ার আল মামুনকে আরো সচেষ্ট থাকতে বলেন সুশিল সমাজের অনেকে। জনশ্রুতিমতে এসএমপির ডিবির বর্তমান ডিসি যোগদানের পর পাল্টে যায়, সিলেট নগরীর সব রকম অপরাধমূলক কর্মকান্ডের দৃশ্যপট। ডিসির নির্দেশনায় এডিসি শাহরিয়ারের নেতৃত্বে কয়েকটি টিম মাঠে নামে সিলেট মহানগরীর অপরাধ নির্মূলে। এ পর্যন্ত প্রায় তিন শতাধিক সফল অভিযান পরিচালনা করে ডিবি পুলিশ। প্রতিটি অভিযানে তারা সফলতা নিয়ে ফিরে আসে।
শাহরিয়ার আল মামুন বলেন, আমি কোন অপরাধীর কাছ থেকে টাকা খাইনা, তাই অপরাধীকে ছাড় দেওয়ার প্রশ্ন আসেনা। যেখানে অপরাধমূলক কাজ হবে সেখানে আমি অভিযান চালাতে প্রস্তুত। তিনি সাংবাদিকদের তথ্য দিয়ে তাকে সহযোগীতা করার অনুরোধ করেন।
ডিসি তাহিয়াত আহমদ ও এডিসি শাহরিয়ারের অভিযান আতংকে সিলেট নগরী থেকে ভারতীয় তীর, জুয়া, তিনতাস, আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ, সিলেট নগরীতে দিনে রাতে চোরাচালানের গাড়ি প্রবেশ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে একটি সুন্দর অপরাধমুক্ত পরিবেশ ফিরে এসেছে সিলেট নগরীতে। এক সময় এসএমপি ৬টি থানা এলাকায় বিভিন্ন স্থানে জুয়া আসর, পতিতাস্পট, মাদক ব্যবসা, ছিনতাই, চোরাচালানের সংখ্যা মাত্রারিক্ত বেড়ে যায়। স্থানীয় থানা পুলিশ যেনো অপরাধীদের লাগাম টেনে ধরতে পারছিলোনা। ফলে নগরীর পরিবেশের সাথে তাল মিলিয়ে বাড়তে থাকে নানা রকম অপরাধ মূলক কর্মকান্ড। কিন্তু হঠাৎ করে চিরোচেনা সেই সব দৃশ্যপট পাল্টে দেন ডিবির ডিসি ও এডিসি শাহরিয়ার আল মামুন। শুরু করেন সাড়াসি অভিযান। দীর্ঘ ৫ মাস লাগাতার অভিযানের ফলে সিলেট নগরী থেকে কমতে শুরু করে নানা রকম অপরাধ। বন্ধ হয়ে যায় অর্ধশতাধিক জুয়ার বোর্ড, আবাসিক হোটেল, মাদক স্পট। সম্প্রতি সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে দু-একটি অপরাধ মূলক স্পট ছাড়া প্রায় সবগুলো জুয়ার আস্তানা, আবাসিক হোটেলে পতিতা ব্যবসা, মাদক ব্যবসা, চোরাচালান বন্ধ হয়ে গেছে। এখন প্রতিদিনই গ্রেফতার হচ্ছে জুয়াড়ী, চোরাচালানের গাড়ী ও মাদক ব্যবসায়ীরা।

৩৮ পড়েছেন