• ২৫শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৭শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

বংশাল থানার পুলিশের এসআই মাজিদুলের ক্ষমতা !

admin
প্রকাশিত অক্টোবর ২৮, ২০২৪
বংশাল থানার পুলিশের এসআই মাজিদুলের ক্ষমতা !

বংশাল থানার পুলিশের এসআই মাজিদুলের ক্ষমতা !

Sharing is caring!

স্টাফ রির্পোটার: নাম মাজিদুল ইসলাম বাড়ি পটুয়াখালী জেলার দুমকি চরবয়ড়া গ্রামে পিতার নাম আব্দুস ছত্তার খাঁন। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ পুলিশের উপপরিদর্শক ব্যাচ ৩৭ যোগদান করেন পুলিশ বাহিনীতে। তিনি ছিলেন স্থানীয় ছাত্রলীগের ক্যাডার। বিগত সরকারের শাসন আমলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মোঃ আফজাল হোসেনে মাধ্যেমে পুলিশ বাহিনীতে তিনি চাকরি পান।

বাংলাদেশ পুলিশের উপ-পরিদর্শক হিসেবে চাকুরি হওয়ার আগে মাজিদুল পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি (২০১৭/২০১৮) এবং শের-ই বাংলা হল ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্বে ছিলেন। পুলিশে চাকরি পাওয়ার পর থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্ধকোটি টাকার মালিক বনে গেছেন এই মাজিদুল। এক সময় পারিবারিক ভাবে অসচ্ছল মাজিদুল হক খাঁন পুলিশের প্রশিক্ষণ শেষে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থানা, গৌরনদী থানা, উজিরপুর থানা এবং সর্বশেষ ঢাকা বংশাল থানায় বদলি হন। বিগত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বংশাল থানায় কর্মরত ছিলেন পুলিশের এই সদস্য। দলীয় সাংগঠনিক পরিচয় বহন করে তিনি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে (এসআই) পদে যোগ দেওয়ার পরই ফিরে যায় তার ভাগ্যর চাকা।

কর্মস্থলে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে ঘুষ বানিজ্য, ক্ষমতার অপব্যবহার সহ একাধিক অনিয়মে জড়িয়ে পড়ে অল্প সময়ের ব্যবধানে বার-বার বদলীর সম্মুখীন হন তিনি। পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাজেদ পারিবারিক ভাবে অস্বচ্ছল হলেও, অবৈধ আয়ের সুবাদে মাত্র ছয় বছর চাকুরির ব্যবধানে গ্রামের বাড়িতে ১২-১৫ লক্ষ টাকা দিয়ে টিন শেড ঘর নির্মাণ করেন এবং নিজ জেলা পটুয়াখালী শহরে ৩৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১৪ শতাংশ / ৭ কাঠার একটি প্লট ক্রয় করেছেন বলে জানিয়েছেন এলাকার একাধিক বাসিন্দা।

অল্প সময়ের ব্যবধানে তিনি নিজ গ্রামের বাড়ি ও শশুর বাড়িতে অসামঞ্জস্য সম্পদের মালিক বনে যাওয়ার খবর চাউর হলে ব্যাপরোয়া এসআই মাজেদুল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ধমন করতে আন্দোলনরত ছাত্রদের উপর অতিউৎসাহী হয়ে অমানবিক নৃশংসতা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। নিজ জেলা পটুয়াখালীর দুমকি থানায় কোন ভুক্তভোগী মামলা বা অভিযোগ নিয়ে গেলে, অভিযোগকারী বিপক্ষের কেউ হলে, জোর তদবির চালানো, নিজের পদবি গোপন রেখে সিনিয়র অফিসার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মহলে ক্ষমতার অপব্যবহার করতেন তিনি। এ প্রসঙ্গে ঢাকার বংশাল থানায় কর্মরত এসআই মাজিদুল হক খাঁনের সাথে সরাসরি হলে তিনি নিজেকে ছাত্রলীগের কর্মী ও পদধারী নেতা পরিচয় দিতে থাকার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশে চাকুরি নিজ যোগ্যতায় পেয়েছেন আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেনের সুপারিশে নয়। পটুয়াখালীতে কোন প্লট কিনেননি । ছাত্র আন্দোলনে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করেছেন।

১৪৩ পড়েছেন