• ২৪শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১০ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৬শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

তিন দফা দাবিতে সিলেটে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি অব্যাহত

admin
প্রকাশিত মে ৮, ২০২৫
তিন দফা দাবিতে সিলেটে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি অব্যাহত

Sharing is caring!

সহকারী শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ ঘোষিত সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত সিলেটে চতুর্থ দিনের ১ ঘন্টা কর্মবিরতি চলমান রয়েছে।জানা গেছে, ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণসহ তিন দফা দাবিতে সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা টানা কর্মবিরতি পালন করার ঘোষণা দেন। তাদের ঘোষিত কর্মসূচি সিডিউল মোতাবেক ৫ মে থেকে ১৫ মে পর্যন্ত ১ঘন্টা, ১৬ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত ২ঘন্টা, ২৬ মে থেকে পূর্ণ দিবস। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মবিরতি কর্মসূচি চলবে। প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের ব্যানার এ কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে।এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষক সমিতির সিলেট জেলা কমিটির সহ-সভাপতি ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আহাদ বলেন, “মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করি, বৈষম্য মুক্ত বাংলাদেশ গড়ি” এই বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের ১১তম গ্রেডে উন্নিত করণের জন্য আমাদের ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে কর্মবিরতি চলমান রয়েছে। ২০০৯ সালে সহকারী শিক্ষকদের সর্বশেষ পদোন্নতি দেয়া হয়। আজব ডিপার্টমেন্ট দীর্ঘ ১৫বছরেও শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি হচ্ছে না। প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতিসহ ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা নিরসনের জন্য আমাদের এই কর্মসূচি। আমাদের কর্তৃপক্ষের শুভ দৃষ্টি কামনা করছি। যত দ্রুত সম্ভব আমাদের দাবি মেনে বাস্তবায়ন করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গুরুর পেটের ক্ষুধা নিরসনের আবেদন জানাচ্ছি।বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি প্রমথেশ দত্ত বলেন, ১১তম গ্রেড প্রদানসহ ৩দফা দাবিতে ৫মে থেকে আমরা প্রতিদিন ১ঘন্টা ব্যাপী কর্মবিরতি পালন করে আসছি। সিলেট জেলার প্রত্যেকটা বিদ্যালয়ে এ কর্মসূচি পালন করছেন। আজ কর্মসূচি পালনের চতুর্থ দিন চলছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোন উদ্যোগ নিতে দেখছি না। এই কর্মসূচি বেতন বৃদ্ধির নয়, আমাদের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য করছি। বৈষম্য মুক্ত বাংলাদেশে শিক্ষা বিভাগে বৈষম্য রেখে উন্নত দেশ গড়া কোনভাবেই সম্ভব হবে না। আমি আশাবাদী সরকার দ্রুত আমাদের ন্যায্য দাবিগুলো মেনে নিয়ে আমাদেরকের শ্রেণি পাঠদানে মনোনিবেশ করতে দিবেন। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নিকট এই দাবিগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য জোর দাবি জানাই। শিক্ষকদের তিন দফা দাবি হচ্ছে- সরকারের গঠিত কনসালটেশন কমিটির সুপারিশের যৌক্তিক সংস্কার করে সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ ধরে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, ১০ বছর ও ১৬ বছরপূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা নিরসন এবং প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতিসহ দ্রুত পদোন্নতি প্রদান।

২৬ পড়েছেন