• ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১২ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসেছেন সিলেটের ইজারাদার জাবীর আশরাফ চৌধুরী

admin
প্রকাশিত মার্চ ১৬, ২০২৪
সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসেছেন সিলেটের ইজারাদার জাবীর আশরাফ চৌধুরী

Sharing is caring!

স্টাফ রির্পোটার: অর্ধকোটি টাকা হারিয়ে পথে বসেছেন সিলেটের বালুমহাল ইজারাদার জাবীর আশরাফ চৌধুরী। সর্বস্বান্ত হয়ে বর্তমানে ভবঘুরে দিনযাপন করছেন তিনি। জামায়াতে ইসলামীর সাবেক এমপির ভাতিজা হওয়ায় রাজনৈতিক কারণেই তার এ করুণ দশা বলে অনেকে জানিয়েছেন। আর্থিক ক্ষতি ও নিপীড়নের শিকার ও নিরুপায় হয়ে তিনি কোথায় আছেন তা কেউ বলতে পারেনা। তবে একটি বিশ্বস্থ্য সূত্র জানিয়েছে দেনার দায়ের জাবির আশরাফ চৌধুরী এখন দেশের বাইওে আত্মগোপনে অবস্থান করছেন। একদিকে ইজারা নিয়ে রাজকোষে টাকা জমা দিয়ে বালু উত্তোলন করতে না পারা অপর দিকে পাওনাদারদের নানা রকম হুমকিতে তিনি আত্মগোপনে অবস্থান করছেন রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে তার পক্ষে গত ১৪ মার্চ ২৪ ইং তারিখে স্বজন বদরুল আমিন (আমমোক্তার) সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত আবেদন করেন। তার সেই আবেদনে দেওয়া এক আবেদনে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে।
জেলা প্রশাসক বরাবরে দেওয়া অভিযোগে প্রকাশ, সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার তালবাড়ী গ্রামের মাষ্টার মাহমুদ আলী চৌধুরীর পুত্র জাবীর আশরাফ চৌধুরী বালুমহাল ইজারা ব্যবসা করতেন। সিলেট জেলার সুরমা নদীর রাজাগঞ্জ বালুমহালটি ২৫ লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্য পরিশোধ করে ১৪১৬ বাংলা সনের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ইজারা গ্রহন করেন। কিন্তু ইজারা পত্রে মহালের বিভিন্ন দাগ ও সীমানা জনিত ত্রæটি থাকায় মহালের ভোগ ব্যবহারে চরম প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়েন জাবীর। ফলে ব্যবসায়িক ভাবে তিনি বালুমহালটি ভোগ-ব্যবহার করতে পারেননি। এমতাবস্থায় তিনি মহালের দাগ ও সীমানা জনিত জঠিলতা এবং প্রতিবন্ধকতা দুরীকরণের জন্য সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তার এই আবেদন আমলে নেননি তৎকালীন সিলেটের জেলা প্রশাসক। পরবতীতে জাবীর আশরাফ চৌধুরী এ বিষয়ে মহামান্য হাইকোর্টে ২৬৯৪/২০১৯ইং নং রিট পিটিশন দাখিল করেন। রিটের ভিত্তিতে মহামান্য হাইকোর্ট ১৪/০৩/২০১৯ তারিখে প্রদত্ত আদেশে জাবীর আশরাফ চৌধুরীকে উক্ত বালুমহালের প্রতিবন্ধকতা দুর করে এক বছরের জন্য ইজারা প্রদানের আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি ২৩/০৭/২০১৯ইং তারিখে জেলা প্রশাসককে অবহিত করেন জাবীর। কিন্তু জেলা প্রশাসক মহামান্য হাইকোর্টের এ আদেশও আমলে নেননি। পরবর্তীতে হাইকোর্টের আদেশে জাবীর আশরাফ চৌধুরী সিলেটের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে পুনরায় আরও ২৫ লাখ ১০ হাজার টাকা ইজারা মূল্য জমা দেন। সরকারের রাজকোষে দুই দফায় ৫০ লাখ ২০ হাজার টাকা ইজারামূল্য জমা নিয়েও জাবীর আশরাফ চৌধুরীকে আজোবধি বালুমহালের নিয়মতান্ত্রিক দখল সমজিয়ে দেওয়া হয়নি।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, জাবীর আশরাফ চৌধুরীর চাচা অধ্যক্ষ মাওলানা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী জামায়াতে ইাসলামির সাবেক এমপি হওয়ায় বর্তমান শাসক দলের প্রভাবে বালুমহালের দখলদেহী থেকে তাকে নানা কৌশলে বঞ্চিত রাখা হয়েছে। ফলে সর্বস্ব হারিয়ে জাবীর আশরাফ চৌধুরী চরম মানবেতর জীবন যাপন করছেন। টাকা হারানোর পাশাপাশি হয়রানী ও প্রাণহানীর ভয়ে বাড়িতে পৌঁছতে পারছেন না তিনি। সিলেটের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কার্য শাখা তার পক্ষে দেওয়া সম্প্রতি আবেদন প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

৩৮ পড়েছেন