• ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৩ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

গ্যাস সংকট: রোজাদারদের স্বস্তি দিন

admin
প্রকাশিত এপ্রিল ৯, ২০২৩
গ্যাস সংকট: রোজাদারদের স্বস্তি দিন

Sharing is caring!

সম্পাদকীয় : রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকায় তীব্র গ্যাস সংকটের কারণে রোজাদারদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সেহরি ও ইফতারি তৈরির সময় কোনো কোনো এলাকায় একদমই গ্যাস থাকে না। ফলে অনেকে ফুটপাতের খোলা দোকান থেকে অস্বাস্থ্যকর ইফতারসামগ্রী কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেকে ইফতার করছেন অস্বাস্থ্যকর হোটেলে। ফলে নানা রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। রমজানের শুরু থেকেই গ্যাস সংকটের কারণে পোহাতে হচ্ছে এ দুর্ভোগ। শুধু রাজধানীতে নয়, আবাসিক গ্যাস সংযোগ রয়েছে এমন জেলাগুলোতেও একই অবস্থা বিরাজ করছে বলে জানা গেছে। বিষয়টি দুঃখজনক। সারাদিন সিয়াম সাধনা শেষে রোজাদাররা যদি স্বাচ্ছন্দ্যে ইফতারিটুকু করতে না পারেন, তাহলে তা পরিতাপের বিষয় বৈকি!বৈশ্বিক পরিস্থিতির প্রভাবে দেশে গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকট চলছে। তবে আমরা আশা করেছিলাম, অন্তত রমজান মাসে যে কোনো উপায়ে পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক পর্যায়ে রাখতে নেওয়া হবে কার্যকর পদক্ষেপ। কিন্তু আবাসিক ও বাণিজ্যিক কোনো খাতেই গ্যাস সরবরাহের ব্যাপারে সুখবর নেই; বরং রমজানে চাহিদা বাড়ায় গ্যাস সংকট আরও বেড়েছে। উল্লেখ্য, দেশে এখন দিনে গ্যাসের চাহিদা ৪০০ কোটি ঘনফুট; সেখানে সরবরাহ করা হয় সর্বোচ্চ ৩০০ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে দেশীয় উৎস থেকে আসে ২২৫ থেকে ২৩০ কোটি ঘনফুট। বাকিটা মেটানো হয় এলএনজি আমদানি করে। কিন্তু ডলার সংকটের কারণে এলএনজি আমদানির মাধ্যমে সংকট মেটানোর উদ্যোগও কার্যকর হচ্ছে না।বস্তুত এ সংকট চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে গ্যাসে স্বনির্ভর হওয়া আমাদের জন্য কতটা জরুরি। দেশে উৎপাদিত গ্যাসের উল্লেখযোগ্য অংশ সরবরাহ করা হয় বিদ্যুৎ উৎপাদনে। এছাড়া সার কারখানা, শিল্পপ্রতিষ্ঠান, আবাসিক, সিএনজি এবং শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানেও গ্যাস ব্যবহার করা হয়। এ কারণে গ্যাস খাতকে দেওয়া উচিত সর্বোচ্চ গুরুত্ব। দেশে দীর্ঘদিন ধরে নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধানের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধান ও আবিষ্কারে ত্রিমাত্রিক সার্ভে সম্পন্ন করে প্রয়োজনীয়সংখ্যক কূপ খনন করা হলে সুফল পাওয়া যেতে পারে। তবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে এ মুহূর্তে নতুন গ্যাসক্ষেত্রের অনুসন্ধান বা নতুন কূপ খননের ব্যয়বহুল কার্যক্রমের চেয়ে পুরোনো কূপে গুরুত্ব দেওয়াই সমীচীন। সেক্ষেত্রে দেশীয় কোম্পানিগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে। সেই সঙ্গে গ্যাসের অপচয় ও দুর্নীতি রোধেও নিতে হবে কার্যকর পদক্ষেপ।

৩৩৬ পড়েছেন